সিলহট রিপোর্টার :: সিলেট অঞ্চল প্রবাসী অধ্যুষিত হওয়ায় প্রাণনাশী করোনা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই এই বিভাগের মানুষ ছিলেন একটু বেশি আতঙ্কে। এবার সিলেটবাসীর সেই আতঙ্ক কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিলো একটি ‘অনাকাঙ্খিত দু:সংবাদ’। দু:সংবাদটি হচ্ছে- না ফেরার দেশে চলে গেছেন সিলেটে করোনা আক্রান্ত প্রথম রোগী। আজ বুধবার (১৫ এপ্রিল) ভোর সাড়ে ৪টায় ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেছেন।
গত ডিসেম্বরে চীনের উহান প্রদেশ থেকে বিস্তার লাভ করা প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসটি সে দেশের সীমান্ত পেরিয়ে একসময় ঢুকে গেলো অন্যান্য দেশে। তখনও বাংলাদেশে এর আতঙ্ক পুরোপুরি ছড়িয়ে পড়েনি। গত ৩ মাসে ভয়ঙ্কর এ ভাইরাসটি বিশ্বের এক দেশ থেকে আরেক দেশে লাশের সারি ‘উপহার’ দিয়ে একসময় প্রবেশ করলো বাংলাদেশেও। পরে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল সিলেটেও ঢুকে পড়রো করোনা। ঢুকেই ক্ষান্ত হয়নি, অবশেষে ভাইরাসটি মৃত্যুর পরোয়ানা জারি করলো সিলেটে প্রথম আক্রান্ত ব্যক্তির উপর। এবার এ অঞ্চলবাসীকে করোনা বিস্তারের আতঙ্কটি ছাপিয়ে ঘিরে ধরেছে ‘অনাকাঙ্খিত মৃত্যুর আতঙ্ক’।
জানা গেছে, কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন সিলেটে করোনা আক্রান্ত প্রথম রোগী ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মঈন উদ্দিন। আজ বুধবার (১৫ এপ্রিল) ভোর সাড়ে ৪টায় ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন। তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন (বিএমএ) এর মহাসচিব ডা. ইহতেশামুল হক চৌধুরী দুলাল।
ডা. মঈন উদ্দিন ছিলেন সিলেটের প্রথম করোনা রোগী। গত ৫ এপ্রিল তার শরীরে করোনা রোগ ধরা পড়ে। রোগ ধরা পড়ার পর শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতালের চিকিৎকদের পরামর্শমতে তিনি বাসায় কোয়ারেন্টিন অবস্থায় চিকিৎসা নিতে থাকেন। পরে তার শরীরের অবস্থা খারাপের দিকে গেলে ৭ এপ্রিল তিনি নগরীর শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি হন। ৮ এপ্রিল সেখান থেকে পরিবারের ইচ্ছায় চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকার কুর্মিটোলা হাসপাতালে নেয়া হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় গত সোমবার হাসপাতালের লাইফ সাপোর্টে রাখা হয় তাকে। সেখানেই আজ ভোর সাড়ে ৪টায় তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।
Leave a Reply