ডেস্ক রিপোর্টার ::
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদ দায়িত্বগ্রহণের পরপরই আধ্যাত্মিক এই নগরীর মর্যাদা রক্ষায় ও ছাত্রীদের নিরাপত্তাকে প্রাধান্য দিয়ে বেশ কিছু বিধিনিষেধ চালু করেন।
তার মধ্যে অন্যতম ছিলো- সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার পর ছাত্রীরা হলের বাইরে বের হতে পারবেন না। এছাড়া ছাত্র-ছাত্রীদের আড্ডা বন্ধ করে পড়াশোনার সুষ্ঠু পরিবেশ প্রতিষ্ঠায় ক্যাম্পাসের টং দোকান তুলে দেন তিনি। কিন্তু শাবিতে চলমান আন্দোলনের ১২তম দিনে শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের এসব নিয়মকে ‘তালেবানি রুল’ বলে আখ্যা দেন।
তবে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা উপাচার্যের এসব সিদ্ধান্তকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন।
এক বিবৃতিতে তারা বলেছেন, ভিসি সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এতে করে আমাদের মেয়েরা নিরাপদ থাকবে। আমরা চাই না- আমাদের মেয়েরা রাতেরবেলা ক্যাম্পাস বা হলের বাইরে ঘুরাফেরা করুক।
অন্যদিকে সিলেটের সাধারণ মানুষও ভিসির সিদ্ধান্তের পক্ষে সমর্থন ব্যক্ত করেছেন। তারা বলছেন- সিলেট একটি আধ্যাত্মিক নগরী। এখানকার পরিবেশ এবং সংস্কৃতি বাংলাদেশের অন্য অঞ্চল থেকে আলাদা। রাতেরবেলা ছাত্রীরা হলের বাইরে ঘুরাফেরা করবে- এটা মেনে নেয়া যায় না । এতে অনেক অপ্রীতিকর পরিস্থিতির জন্ম হবে। শান্ত জনপদ সিলেটে ধর্মীয় মূল্যবোধ চর্চায় প্রতিবন্ধকতা তৈরি হবে।
তারা বলেন, যে কোনো মূল্যে আমরা পবিত্র এই নগরীর মর্যাদা রক্ষা করবো।
Leave a Reply